ফেসবুক বিজ্ঞাপনের পেমেন্ট মেথড এবং ডুয়াল কারেন্সি কার্ড নিয়ে যারা জানতে চাচ্ছিলেন তাদের জন্য।
যারা বাংলাদেশ থেকে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিতে চাচ্ছেন তারা সাধারণত ডুয়াল কারেন্সি কার্ড অথবা ফেইসবুক অথরাইজ এড একাউন্টের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন।
ফেসবুক অথরাইজ এড একাউন্ট
আপনারা ফেসবুকের অথরাইজ একাউন্ট ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। বাংলাদেশে এইচটিটিপুল বাংলাদেশ লিমিটেড ফেসবুকের অথরাইজ এড একাউন্ট পার্টনার। আপনি চাইলে সরাসরি তাদের কাছ থেকে এড একাউন্ট নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাদের চাহিদা অনুযায়ী আপনার টিন সার্টিফিকেট, ভ্যাট সার্টিফিকেট, ট্রেড লাইসেন্স এর প্রয়োজন পড়বে। এবং প্রতি মাসে সর্বনিম্ন তিন হাজার ডলার খরচ করতে হবে।
এইচটিটিপুলের এড্রেসঃ https://www.httpool.com/
অথবা তাদের যে সমস্ত রিসেলার আছে তাদের কাছ থেকে এড একাউন্ট নিয়ে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। নতুনদের জন্য সেটাই সবচেয়ে ভালো অপশন। তবে অবশ্যই লেনদেন করার পূর্বে তারা এইচটিটিপুলের রিসেলার কিনা সেটা কনফার্ম হয়ে নিবেন।
ফেসবুক অথরাইজ এড একাউন্ট ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে আপনার কোন পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে না, এবং তাদের দেয়া অ্যাড একাউন্ট সাধারণত কম ডিজেবল হয়।
ডুয়াল কারেন্সি কার্ড
প্রথমেই বলি ফিজিক্যাল ডুয়াল কারেন্সি কার্ড ব্যবহারের জন্য অবশ্যই আপনার বা যার নামে কার্ড করবেন তার পাসপোর্ট থাকতে হবে। যেসব ব্যাংক ডুয়াল কারেন্সি কার্ড প্রোভাইড করে তাদের ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে আপনি ডুয়াল কারেন্সি কার্ড পেতে পারেন। কার্ড হাতে পাওয়ার পর আপনার পাসপোর্টে আপনার পরিমাণ মত ডলার এন্ড্রোস করে ব্যবহার করতে পারবেন। অথবা অ্যাকাউন্ট খোলা ছাড়াও যে সমস্ত ব্যাংক প্রিপেইড ডুয়াল কারেন্সি কার্ড প্রোভাইড করে তাদের কাছ থেকেও আপনি তা সংগ্রহ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনার পাসপোর্ট, পাসপোর্ট এর ফটোকপি, এনআইডি কার্ড, ছবি, কিছু কিছু ব্যাংকে নমিনির এনআইডি কার্ড ও ছবি প্রয়োজন হতে পারে। এবি ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ,সহ আরো অনেক ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড প্রোভাইড করে। সকল সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় ইস্টার্ন ব্যাংক প্রিপেইড ডুয়াল কারেন্সি কার্ড প্রদানে সবচেয়ে জনপ্রিয়।
বাংলাদেশে বিজ্ঞাপন দেয়ার ক্ষেত্রে ফেসবুক ১৫% ভ্যাট আরোপ করে। আপনি চাইলে ভ্যাট নাম্বার প্রদানের মাধ্যমে সেই ভ্যাট থেকে অব্যাহতি পেতে পারেন । এবং আপনি বাংলাদেশের যেই ব্যাংকের কার্ডই ব্যবহার করেন না কেন ১৫% ভ্যাট যোগ হবে আপনার ফেসবুক থেকে পাঠানো বিলের উপর । তবে আপনি যদি এই ভ্যাট থেকেও অব্যাহতি পেতে চান তাহলে আপনাকে দেশের বাইরের যে কোন ডুয়াল কারেন্সি কার্ড ব্যবহার করতে হবে অথবা ভার্চুয়াল ডুয়াল কারেন্সি কার্ড ব্যবহার করতে হবে। তবে ভার্চুয়াল কার্ড ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে অ্যাড একাউন্ট অধিক পরিমাণ ডিজেবল হয়।
সুতরাং এসকল দিক মাথায় রেখে ফেসবুকে এড একাউন্ট নিয়ে কাজ শুরু করবেন।