শিরোনাম: নতুন বর্ষের উল্লাস ও তার ক্ষতিকর প্রভাব: আতশবাজি, ফানুস ও পাখিদের প্রাণহানি

 

প্রত্যেক বছরের শেষটা আমাদের জন্য আনন্দের একটি মহোৎসব। ৩১শে ডিসেম্বর রাতের আগের ঘণ্টাগুলি নিয়ে আসে নতুন বছর বরণের উল্লাস। কিন্তু গত বছরটি কেবল আনন্দ আর উল্লাসের প্রতীক হয়েই শেষ হয়নি; বরং আমাদের শহরের পরিবেশ এবং বাস্তুতন্ত্রের জন্য কিছু দুঃখজনক ঘটনা নিয়ে এসেছে।

 

এই বিশেষ রাতে,ফানুশ উড়ানো ও আতশবাজি ফুটানোর জন্য মানুষ জড়ো হয়েছিল নানা স্থানে, যেন নতুন বছরটি উদযাপন যেন হয়ে ওঠে আরও রঙিন। তবে, আতশবাজির বলি হলো আমাদের পাখিরা। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়, বিশেষত মিরপুর ধানমন্ডিতে, আতশবাজির তীব্র শব্দের কারণে অসংখ্য পাখির প্রাণহানি ঘটেছে। এমনকি, ফানুস উড়ানোর ফলে ঘটনাক্রমে আগুন লেগে গেছে কয়েকটি স্থানে, যা আরো সংকটজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

 

এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, বিনোদন আর আনন্দ উদযাপনের মাঝে আমাদের প্রাকৃতিক ভারসাম্য এবং জীববৈচিত্র্যকে কোনোরকম ক্ষতি না করার বিষয়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। আমরা কি আসলেই এই উদযাপনগুলিকে নিরাপদ পরিবেশবান্ধবভাবে পালন করতে পারি না?

 

নতুন বছরটি আসে আমাদের নতুন প্রত্যাশা স্বপ্ন নিয়ে। তবে, সেই প্রত্যাশার মাঝে যদি পরিবেশের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা হারিয়ে যায়, তাহলে কি সত্যিই আমরা একটা উন্নত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি? আসুন, আগামী বছরে আমরা সবাই মিলে একটু সচেতন হই। আসুন, আমরা আমাদের আনন্দ উদযাপন করি তবে পাখিরা যেন নিরাপদে থাকতে পারে, পরিবেশ যেন অক্ষুন্ন থাকে।

 

নতুন বছরটির শুরুতে এই পদক্ষেপগুলো আমাদের সবার পক্ষ থেকে ছোট একটি পরিবর্তন, কিন্তু এর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়তে পারে আমাদের সামাজিক পরিবেশগত স্বাস্থ্যেও।

 


 


Post a Comment

Previous Post Next Post