The Lesser Key of Solomon

 

"The Lesser Key of Solomon" বা "Lemegeton" নামক এই গ্রন্থটি জাদুবিদ্যা, ডেমনোলজি এবং সোলায়মান নবীর ঐতিহাসিক কর্মকাণ্ড নিয়ে রচিত একটি রহস্যময় বই। এটি পাঁচটি ভাগে বিভক্ত, যার মধ্যে প্রথম অংশটি Goetia নামে পরিচিত। এখানে ৭২টি আত্মা বা জ্বিনের নাম, ক্ষমতা, এবং তাদের ডাকতে কীভাবে সঠিক আচার-অনুষ্ঠান করতে হয়, তার বিবরণ দেওয়া হয়েছে।


আনুষ্ঠানিক যাদুবিদ্যার শিক্ষিত ব্যাখ্যা

(The Initiated Interpretation of Ceremonial Magic)

যারা যাদুবিদ্যার সাহিত্য নিয়ে গবেষণা করেন এবং মোটেই নির্বোধ নন, তাদের জন্য এটি বেশ মজার বিষয়। তারা লক্ষ্য করেন যে সাধারণ লোকেরা যাদুবিদ্যার শক্তি এবং গোপন জ্ঞান নিয়ে কেমন সমালোচনা করে। আমাদের শৈশব থেকেই, আমরা কেবল বাইবেলের আক্ষরিক ব্যাখ্যা বিশ্বাস করিনি, বরং "আলিফ লায়লা ওয়া লায়লা" (হাজার রজনীর গল্প) এর মতো কল্পকাহিনীগুলোকেও বিশ্বাস করেছি। কেবলমাত্র প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরই আমরা বুঝতে পারি এই গল্পগুলোকে ইতিহাসের অংশ হিসেবে না দেখে, লোককাহিনী এবং নৃবিজ্ঞানের প্রেক্ষাপটে দেখা উচিত।

যখন আমরা বুঝি যে বাইবেল বা অন্যান্য ধর্ম গ্রন্থ থেকে গভীর এবং সূক্ষ্ম গবেষণার মাধ্যমে মহাজাগতিক গুরুত্বের জ্ঞান দিতে পারে, তখনও আমরা একই গভীরতার সঙ্গে অন্যান্য প্রাচীন গ্রন্থগুলোর মূল্যায়ন করি না। এমনকি আমরা যদি স্যার রিচার্ড বার্টনের প্রকাশিত "আলিফ লায়লা"র আসল সংস্করণটি হাতে পাই, তাও এর রহস্যগুলো নিয়ে গভীর গবেষণায় প্রবৃত্ত হই না।

আমাদের উদ্দেশ্য হলো "আলিফ লায়লা"কে তার যথাযথ মর্যাদায় পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।


যাদুবিদ্যার  বাস্তবতা

আমি যাদুবিদ্যার সকল "আশ্চর্যজনক" ঘটনাগুলোর বাস্তবতা অস্বীকার করি না। যদি এগুলো ভ্রম হয়, তবে এগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক মেনে নেওয়া ঘটনার মতোই বাস্তব। এবং যদি আমরা হারবার্ট স্পেনসারের যুক্তি অনুসরণ করি, তাহলে এগুলো একটি কারণের প্রমাণ।

প্রশ্ন উঠতে পারে, “আমার মনে একটি ত্রিভুজে কোনো আত্মাকে দেখার ভ্রমের কারণ কী?”
যেকোনো মানসিক বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী বা বিশেষজ্ঞ উত্তর দেবে, “এটা তোমার মস্তিষ্কে ঘটেছে।”

যাদুবিদ্যার বিরুদ্ধে সাধারণ সমালোচনা

শুরুতেই উল্লেখ্য যে, সাধারণ মানুষ যারা যাদুবিদ্যার গোপন শক্তি এবং জ্ঞান সম্পর্কে জানে না, তারা এটি নিয়ে সমালোচনা করে। তাদের সমালোচনা মূলত যাদুবিদ্যার গুরুত্ব এবং ক্ষমতা বুঝতে না পারার ফল। লেখকের মতে, সমাজের অনেকেই বাইবেলের মতো ধর্মগ্রন্থকে আক্ষরিক অর্থে বিশ্বাস করে এবং একইসঙ্গে "আলিফ লায়লা ওয়া লায়লা"র মতো রূপকথার গল্পগুলোও একই গুরুত্ব দিয়ে দেখে। এই দুটি বিষয়কে ইতিহাস এবং জ্ঞানচর্চার উপাদান হিসেবে বিবেচনা করার পরিবর্তে লোককাহিনী এবং নৃবিজ্ঞানের অংশ হিসেবে দেখা উচিত।

বাইবেলের আধ্যাত্মিকতা বনাম যাদুবিদ্যার গভীরতা

আমরা যখন বাইবেলের গভীর এবং সূক্ষ্ম পাঠের মাধ্যমে মহাজাগতিক জ্ঞানের দিকে অগ্রসর হতে পারি, তখন কেন "আলিফ লায়লা" বা অনুরূপ প্রাচীন গ্রন্থগুলোকে সেই একই গুরুত্ব দিয়ে মূল্যায়ন করি না? তিনি বলেন, যদি আমরা সঠিক পদ্ধতিতে যাদুবিদ্যার বইগুলো অধ্যয়ন করি, তবে সেগুলো থেকেও আমরা বিশাল পরিমাণে জ্ঞান আহরণ করতে পারি।

যাদুবিদ্যার অভিজ্ঞতা: বাস্তব নাকি মায়া?

যাদুবিদ্যার প্রতিটি ঘটনা বাস্তব, যদিও তা অনেকের কাছে ভ্রম বলে মনে হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কেউ যদি একটি যাদুবিদ্যা চক্রের মধ্যে একটি আত্মা দেখে, তবে তার মস্তিষ্ক সেই অভিজ্ঞতার কারণ।
লেখক এখানে ফিলোসফিকাল দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন:

  1. ইংরেজ শিশুরা শিখে যে মহাবিশ্বের সীমানা অসীম।
  2. হিন্দু শিশুরা শিখে যে মহাবিশ্ব "আকাশ" নামক শক্তির মধ্যে বিরাজমান।

এই দুটি ধারণাই একটি নির্দিষ্ট মনোভাব থেকে উদ্ভূত, এবং দুটিই সঠিক হতে পারে। যাদুবিদ্যার ঘটনা মস্তিষ্কের অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের ফল এবং সেগুলো "বাস্তব" অভিজ্ঞতা হিসেবে দেখা যেতে পারে।

আনুষ্ঠানিক যাদুবিদ্যার প্রভাব

আনুষ্ঠানিক যাদুবিদ্যার মূল উদ্দেশ্য হলো মস্তিষ্কে বিশেষ পরিবর্তন সৃষ্টি করা। এই পরিবর্তন বিভিন্ন ইন্দ্রিয়ের (দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণশক্তি, ঘ্রাণশক্তি, ইত্যাদি) মাধ্যমে ঘটে। উদাহরণস্বরূপ:

  1. দৃষ্টি: যাদুবিদ্যার চক্র, ত্রিভুজ এবং প্রতীকগুলো মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে।
  2. শ্রবণ: আহ্বানমূলক মন্ত্রগুলো মনকে সক্রিয় করে।
  3. ঘ্রাণ: ধূপ বা সুগন্ধি মস্তিষ্কে একটি নির্দিষ্ট ভাব জাগ্রত করে।
  4. স্বাদ: কিছু আনুষ্ঠানিকতায় বিশেষ খাবার বা পানীয় ব্যবহার করা হয়, যা মনোযোগ কেন্দ্রিত করতে সাহায্য করে।

মস্তিষ্ক এবং আত্মা

যাদুবিদ্যার মাধ্যমে যা ঘটে তা একধরনের মানসিক প্রক্ষেপণ। তিনি বলেন, প্রতিটি যাদুবিদ্যার "আত্মা" আসলে মানব মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশের প্রতিনিধিত্ব করে।

  • প্রতিটি আত্মার জন্য নির্ধারিত সিলমোহর (seal) সেই নির্দিষ্ট মস্তিষ্ক অংশকে সক্রিয় করার পদ্ধতি।
  • ঈশ্বরের নামের স্পন্দন (vibration) মস্তিষ্ককে সামগ্রিকভাবে বা নির্দিষ্টভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।

যাদুবিদ্যার মাধ্যমে ক্ষমতা অর্জন

সঠিক পদ্ধতিতে যাদুবিদ্যার চর্চার মাধ্যমে মানুষ পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতা অর্জন করতে পারে:

  1. তথ্য সংগ্রহ: অবচেতন মন থেকে তথ্য তুলে আনা।
  2. শত্রু ধ্বংস: শত্রুদের পরাজিত করার মাধ্যমে দ্বৈততার বিভ্রম দূর করা।
  3. প্রকৃতির ভাষা বোঝা: পশু বা প্রকৃতির আওয়াজ থেকে অর্থ উদ্ধার করা।
  4. ধন-সম্পদ অর্জন: আর্থিক সাফল্য।
  5. রোগ নিরাময়: শারীরিক সমস্যা বা অসুস্থতা সারানো।

যাদুবিদ্যার উদ্দেশ্য

লেখক বলেন, যাদুবিদ্যা মূলত একটি পদ্ধতিগত এবং পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া। যারা এটি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে অনুসরণ করেন, তাদের জন্য এর ফলাফল ইতিবাচক হয়। 

 যাদুবিদ্যার প্রাথমিক সংজ্ঞা

(Preliminary Definition of Magic)

লেমেগেটন ভেল ক্লাভিকুলা স্যালোমোনিস রেজিস (Lemegeton Vel Clavicula Salomonis Regis)।

যাদুবিদ্যা হলো সর্বোচ্চ, পরম, এবং সবচেয়ে পবিত্র জ্ঞান, যা প্রকৃতির দর্শনের গভীরতম স্তরকে স্পর্শ করে।
এটি সঠিক পদ্ধতিতে এবং বিস্ময়কর কাজগুলোর মাধ্যমে প্রকৃতির আভ্যন্তরীণ এবং অদৃশ্য গুণাবলিকে বোঝার মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

যেখানে প্রকৃত কার্যকর (Agents) সঠিক প্রতিক্রিয়াকারীদের (Patients) সঙ্গে প্রয়োগ করা হয়, সেখান থেকে বিস্ময়কর এবং আশ্চর্যজনক ফলাফল উৎপন্ন হয়।
এই কারণে, যাদুকররা প্রকৃতির গভীরতম গবেষক। তাদের দক্ষতা তাদের এমন এক শক্তি দেয় যা সাধারণ মানুষের কাছে অলৌকিক বলে মনে হয়।

 

যাদুবিদ্যা: পবিত্র ও অশুভ

ওরিজেন উল্লেখ করেন যে, যাদুবিদ্যার শিল্প কোনও স্থায়ী উপাদান ধারণ করে না। যদিও এটি ধারণ করলেও, এটি অশুভ বা তুচ্ছ নয়। তিনি প্রাকৃতিক যাদুবিদ্যাকে শয়তানীয় যাদুবিদ্যার থেকে আলাদা করেছেন।

অ্যাপোলোনিয়াস অফ টাইয়ানাস (Apollonius of Tyana)প্রাকৃতিক যাদুবিদ্যার চর্চা করতেন এবং এর মাধ্যমে বিস্ময়কর কাজগুলো সম্পন্ন করতেন।

ফিলো হিব্রেউস বলেন, প্রকৃত যাদুবিদ্যার মাধ্যমে আমরা প্রকৃতির গোপন কাজগুলো বুঝতে পারি। এটি এতটাই সম্মানজনক যে, বিশ্বের বৃহত্তম রাজারা এই মহান শিল্প অধ্যয়ন করেছেন। পারস্যে এমনকি কেউ রাজত্ব করতে পারত না যতক্ষণ না তিনি এই মহান শিল্পে দক্ষ ছিলেন।

প্রকৃত যাদুবিদ্যার অপব্যবহার

প্রকৃত যাদুবিদ্যা প্রায়ই প্রাকৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সরে গিয়ে শয়তানীয় বা "নিগ্রোম্যান্সি" (Necromancy) হয়ে ওঠে।
এটি চর্চাকারীদের দুর্বলতার কারণে ঘটে, যারা এই উচ্চতর এবং গূঢ় জ্ঞানের জন্য যোগ্য নয়।
তারা সহজেই শয়তানের প্রলোভনে পড়ে এবং কালো যাদুর পথে পরিচালিত হয়। এই কারণেই যাদুবিদ্যাকে তুচ্ছ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং যাঁরা এটি খোঁজেন তাঁদের সাধারণত জাদুকর বা তান্ত্রিক হিসেবে অপমান করা হয়।

 

রোজিক্রুশিয়ানদের দৃষ্টিভঙ্গি

রোজিক্রুশিয়ানদের সংগঠন নিজেদেরকে কখনো যাদুকর বলে উল্লেখ করেনি। তারা নিজেদেরকে "দার্শনিক" নামে অভিহিত করেছে।
তারা কেবলমাত্র "অভিজ্ঞ চিকিৎসক" ছিল যারা আইনসম্মত এবং পবিত্র প্রতিকার ব্যবহার করত।

যাদুবিদ্যার পাঁচটি অংশ লেমেগেটন বা ক্লাভিকুলা স্যালোমোনিস পাঁচটি বিশেষ অংশে বিভক্ত। এগুলো হলো:

  1. গোয়েটিয়া (Goetia):
    যেটি দুষ্ট আত্মাগুলোকে আহ্বান করার এবং তাদের ব্যবহার করার পদ্ধতি ব্যাখ্যা করে।
  2. থিউর্জিয়া-গোয়েটিয়া (Theurgia-Goetia):
    এটি আংশিক ভালো এবং আংশিক দুষ্ট আত্মাগুলোর বর্ণনা দেয়, যেগুলো বাতাসে বসবাস করে।
  3. আর্স পলিনা (Ars Paulina):
    এই অংশে গ্রহ, রাশিচক্র এবং তাদের ডিগ্রির অধিপতি আত্মাগুলোর আলোচনা করা হয়েছে।
  4. আর্স আলমাডেল (Ars Almadel):
    এটি চারটি উচ্চতর স্তরের অধিপতি এবং রাশিচক্রের ৩৬০ ডিগ্রির আত্মাগুলোর বিষয়ে।
  5. আর্স নোভা বা নোটারিয়া (Ars Nova or Notary Art):
    এটি সেই প্রার্থনাগুলোর সংকলন যা সলোমন মন্দিরে প্রার্থনার সময় ব্যবহার করতেন।

যাদুবিদ্যার গুরুত্ব

এই বইটি সলোমনের অন্যান্য বইয়ের তুলনায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি সমস্ত কিছুর সারমর্ম ধারণ করে।
এই জ্ঞান প্রথমে চ্যালডীয় এবং হিব্রু ভাষায় পাওয়া যায় এবং সেখান থেকে গ্রিক ও ল্যাটিন ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

"Preliminary Definition of Magic" অধ্যায়টি যাদুবিদ্যার ধারণা, গুরুত্ব এবং এর সঠিক ও ভুল ব্যবহারের প্রভাব নিয়ে গভীর আলোচনা করে। আমি এখানে অধ্যায়টির বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করছি।

 

যাদুবিদ্যার সারমর্ম

লেখক যাদুবিদ্যার সংজ্ঞায় এটিকে "প্রকৃতির সর্বোচ্চ এবং সবচেয়ে পবিত্র জ্ঞান" বলে আখ্যায়িত করেছেন।

  • এটি এমন এক শিল্প, যা প্রকৃতির আভ্যন্তরীণ শক্তিকে বোঝার ক্ষমতা প্রদান করে।
  • সঠিক প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করলে, যাদুবিদ্যা আশ্চর্যজনক এবং অলৌকিক ফলাফল সৃষ্টি করতে পারে।
  • যাদুকরের কাজ হলো প্রকৃতির গোপন শক্তি উদঘাটন করা এবং সেটিকে প্রয়োগের মাধ্যমে বাস্তবে রূপান্তর করা।

মূল লক্ষ্য:

সাধারণ মানুষের কাছে অলৌকিক বলে মনে হওয়া কাজগুলো যাদুবিদ্যার মাধ্যমে বাস্তবসম্মতভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব। লেখক এই বিষয়টি বিজ্ঞানসম্মত দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করেন।

 

যাদুবিদ্যার প্রকৃতি: পবিত্র বনাম অশুভ

লেখক যাদুবিদ্যার দুটি দিক তুলে ধরেছেন:

  1. প্রাকৃতিক (Natural Magic):
    • এটি প্রকৃতির গোপন শক্তি এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে কার্য সম্পাদন করে।
    • এই ধরনের যাদুবিদ্যা শুদ্ধ এবং পবিত্র।
  2. শয়তানীয় (Diabolical Magic):
    • এটি কালো যাদু বা "নিগ্রোম্যান্সি" হিসেবে পরিচিত।
    • এটি যাদুবিদ্যার অপব্যবহার, যেখানে প্রলুব্ধ হয়ে শয়তানের সাহায্য নেওয়া হয়।
    • লেখকের মতে, যাদুবিদ্যার এই দিকটি এর অনুসারীদের দুর্বলতা এবং অনৈতিক প্রবৃত্তির কারণে সৃষ্টি হয়।

 

প্রাচীন জ্ঞানের প্রতিফলন

যাদুবিদ্যা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত বা ছোট কাজের জন্য নয়, বরং এটি মহাজাগতিক এবং রাজকীয় বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ।

ওরিজেন এবং অ্যাপোলোনিয়াস টাইয়ানাসের দৃষ্টিভঙ্গি:

  • ওরিজেন: যাদুবিদ্যা প্রকৃতির জ্ঞানের চূড়ান্ত স্তর। এটি কখনোই তুচ্ছ নয়।
  • অ্যাপোলোনিয়াস টাইয়ানাস: তিনি প্রাকৃতিক যাদুবিদ্যার চর্চা করতেন এবং এর মাধ্যমে বিশাল সফলতা অর্জন করেছিলেন।

ফিলো হিব্রেউসের মতামত:

  • প্রকৃত যাদুবিদ্যা এতটাই সম্মানিত ছিল যে, প্রাচীন পারস্যের রাজারা এই জ্ঞান অর্জন না করা পর্যন্ত সিংহাসনে বসার যোগ্য বিবেচিত হতেন না।

 


যাদুবিদ্যার গুরুত্ব

লেখকের মতে, যাদুবিদ্যা শুধু একটি বিজ্ঞান নয়, এটি একটি উচ্চতর শিল্প।

  • এটি সঠিকভাবে চর্চা করলে ব্যক্তির ব্যক্তিগত, সামাজিক, এবং আধ্যাত্মিক উন্নতি ঘটাতে পারে।
  • এটি প্রকৃত জ্ঞানের জন্য একটি পথ।


যাদুবিদ্যার বৈজ্ঞানিক ও আধ্যাত্মিক ভিত্তি 

  • যাদুবিদ্যা একটি মহান শিল্প, যা প্রকৃতির গোপন শক্তিকে ব্যবহার করে।
  • যাদুবিদ্যার অপব্যবহার এটির পবিত্রতাকে কলঙ্কিত করে, তবে সঠিক চর্চা করলে এটি ব্যক্তিগত এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য কার্যকর।

"The Book of Evil Spirits"। এটি মূলত সলোমনের দুষ্ট আত্মাদের নিয়ে গঠিত তালিকা, তাদের বৈশিষ্ট্য, ক্ষমতা এবং তাদের আহ্বানের পদ্ধতি বর্ণনা করে। 

দুষ্ট আত্মাদের চরিত্র এবং গুরুত্ব

আত্মাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পদ্ধতি, তাদের ক্ষমতা এবং কিভাবে তারা মানুষের কাজে সাহায্য করতে পারে তা ব্যাখ্যা করা। এটি প্রাচীন যাদুবিদ্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরে।

আত্মাদের বৈশিষ্ট্য এবং ক্ষমতা:

1.      বায়েল: দৃষ্টির বাইরে থাকার ক্ষমতা প্রদান করে। এটি স্পষ্টভাবে দেখায় যে, প্রাচীন যাদুবিদ্যা কৌশলের মাধ্যমে বাস্তব চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা করত।

2.      আগারেস: ভাষা শিক্ষার ক্ষমতা এবং ভূমিকম্প সৃষ্টি করার ক্ষমতা তার প্রাকৃতিক শক্তি এবং শিক্ষা বিস্তারে ভূমিকা তুলে ধরে।

3.      ভাসাগো: অতীত এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জ্ঞান প্রদানকারী আত্মা। এটি দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভবিষ্যদ্বাণীর চর্চাকে নির্দেশ করে।

4.      স্যামিজিনা: মৃতদের বিষয়ে তথ্য প্রদান এবং জ্ঞানের প্রসার ঘটানো তার প্রধান কাজ।

আহ্বানের পদ্ধতি:

প্রতিটি আত্মাকে আহ্বানের জন্য নির্দিষ্ট সিলমোহর বা প্রতীক ব্যবহার করতে হয়। এটি প্রাচীন যাদুবিদ্যার একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য, যেখানে প্রতীক এবং ধূপের মাধ্যমে আত্মাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়।

"The Book of Evil Spirits" বা গোয়েটিয়ার প্রতিটি আত্মার সিলমোহর তাদের স্বতন্ত্র ক্ষমতা এবং বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী তৈরি করা হয়। এই সিলমোহরগুলো যাদুবিদ্যায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো আত্মাদের আহ্বানের জন্য প্রয়োজনীয় মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।

আমি সিলমোহরের বিবরণ এবং বিস্তারিত আলোচনা করব। এখানে সিলমোহরের কার্যকারিতা, প্রয়োজনীয়তা এবং প্রতীকী অর্থ বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করছি।

 

সিলমোহর: একটি যাদুকরী প্রতীক

সিলমোহর প্রতিটি আত্মার পরিচয় বহন করে। এগুলো সাধারণত বৃত্তাকার এবং জটিল নকশার মাধ্যমে তৈরি। প্রতিটি সিলমোহর:

  1. আত্মার নাম এবং ক্ষমতা প্রতিফলিত করে।
  2. আত্মার সঙ্গে সঠিকভাবে যোগাযোগ স্থাপনে সাহায্য করে।
আত্মাকে বাধ্য করে যাদুকরের নির্দেশ মেনে চলতে।


আরো বিস্তারিত জানতে THE LESSER KEY OF SOLOMON বইটি পড়তে চাইলে আমার ফেসবুক ম্যসেঞ্জারে নক দিন অথবা আমার হোয়াটস এপ নং এ নক দিন ।

অনুবাদ

THE LESSER KEY OF SOLOMON

অনুবাদ

Post a Comment

Previous Post Next Post